সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশে ওসমান হাদির মৃত্যু (Osman Hadi Death) নিয়ে দিনের পর দিন যেন পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। ছাত্রনেতার খুনের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কিছুদিন। তবে এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই কারণে এবার ইউনূসকে কাঠগড়ায় তুলল ওসমান হাদির সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। ঢাকা শাহবাগ মোড়ে টানা তিন দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছে তারা, এবং একাধিক দাবিও তুলে ধরেছে।
কী কী দাবি তুলে ধরল ইনক্লাব মঞ্চ?
ইনকিলাব মঞ্চের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবিগুলি পূরণ না করা হয়, তাহলে আন্দোলন আরও বাড়ানো হবে। দাবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে—
- ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা যুক্ত, তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। এমনকি এর জন্য ২৪ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
- বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দাবি তুলেছে এই সংগঠন। এমনকি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ভারত যদি হাসিনা বা হাদি হত্যার মামলায় অভিযুক্ত কাউকে আশ্রয় দেয়, তাহলে আন্তর্জাতিক আদালতেই মামলা দায়ের করা হবে।
- বাংলাদেশে যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিক কাজ করছে, তাদের ওয়ার্কার্স পারমিট অবলম্বনে বাতিল করে দিতে হবে।
- আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর যে সমস্ত আধিকারিক ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করছে, তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছে তারা।
আরও পড়ুন: ডলারের উপর নির্ভরতার দিন শেষ, প্রচুর পরিমাণ সোনা কিনছে ব্রিকস! বদলে যাবে অর্থনীতি?
এদিকে হাদির মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে আবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএ নজরুল ইসলাম দাবি করেছেন, হাদি খুনের মূল অভিযুক্ত এবং তার এক সহযোগী ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। এমনকি তাদেরকে ভারতে প্রবেশে দুই ভারতীয় যুবক সাহায্য করেছে বলেও দাবি করা হয়। তাঁর দাবি অনুযায়ী, মেঘালয় পুলিশ নাকি ওই দুই যুবকের গ্রেফতার করেছে। যদিও বাংলাদেশের এই দাবি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ খারিজ করে দেয়, এবং মেঘালয় পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ হয়নি।
আরও পড়ুন: ২০০০ যাত্রীবোঝাই ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড! জীবন্তদগ্ধ এক যাত্রী, অন্ধপ্রদেশে বড়সড় রেল দুর্ঘটনা
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই আধিকারিক বলেছেন, যাদের নাম করা হয়েছে, তাদের কেউ গারো পাহাড় এলাকায় নেই। এমনকি কোনও গ্রেফতার হয়নি। যাচাই না করে পুরো গল্প বানানো হচ্ছে। তবে মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ ইন্সপেক্টর জেনারেল ওপি উপাধ্যায় বাংলাদেশের দাবি নাকচ করে বলেছেন, হালুঘাট সেক্টর দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে কেউ মেঘালয়ে ঢুকছে, এরকম কোনও প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। তারা যা দাবি করছে, সমস্ত দাবিই ভুয়ো বা ভিত্তিহীন।