ক্যানিং থানার হোমগার্ডের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়, পলাতক অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর

Canning Police Station

সৌভিক মুখার্জী, ক্যানিং: গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানায় (Canning Police Station) মহিলা হোমগার্ডের রহস্যজনক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। থানার কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২২ বছর বয়সী হোমগার্ড গুলজান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমির ঝুলন্ত দেহ। তবে সেই ঘটনায় এবার নয়া মোড়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিং থানার সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ।

আসলে এই ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্তর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছিল। এমনকি অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে, আর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

পলাতক অভিযুক্ত

এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যের কোনও হদিস মিলছে না। এমনকি তাঁকে ধরতে ক্যানিং থানার একটি পুলিশ দল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে হানা দিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: পরাজয় দিয়ে কোচিং কেরিয়ার শুরু সৌরভ গাঙ্গুলির

বলে রাখি, গুলজান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমি ক্যানিং থানার কোয়ার্টারেই থাকতেন। তবে শুক্রবার থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়নি। আর বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে শনিবার তাঁর পরিবারের সদস্যরা ক্যানিং থানায় এসে খোঁজ নিতে শুরু করে। পরে রেশমির বোন রুকসানা কোয়ার্টারে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রেশমির দেহ দেখতে পায়। দ্রুত ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করে এবং দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: যুবভারতী কাণ্ড এবার ক্যানিং-এ! MLA কাপের ফাইনালে দর্শকদের হুড়োহুড়িতে জখম ৭ শিশু

এদিকে মৃতার কাকা ছয়েদ মোল্লার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্তে নামে। কারণ, তিনি জানিয়েছিলেন, রেশমির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যের। পরে সেই সম্পর্ককে ঘিরেই দু’জনের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। আর সেই অশান্তির জেরেই তাঁকে হত্যা করেছে ওই সাব-ইন্সপেক্টর। এটা পরিকল্পিত খুনই ছিল। এমনকি এই ঘটনায় ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, মেয়েটির সঙ্গে ওই সাব-ইন্সপেক্টরের সম্পর্কের কথা আমরা সকলেই জানি। পরিবার এই ঘটনার ন্যায়বিচার চাইছে। পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেছি বিষয়টি যেন গুরুত্ব দিয়েই দেখা হয়।

Leave a Comment