প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে স্বস্তি মহম্মদ শামির প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহানের। আদালতের নির্দেশে যথাযথ অঙ্কের খোরপোশ পেতে চলেছেন তিনি। গত সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অজয় মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, মহম্মদ শামিকে প্রতি মাসে ৪ লক্ষ টাকা খোরপোশ বাবদ দিতে হবে। স্ত্রীর জন্য মাসিক খরচ বাবদ দেড় লক্ষ টাকা ও মেয়ের খরচের জন্যে আড়াই লক্ষ টাকা অর্থাৎ সব মিলিয়ে মাসে ৪ লক্ষ টাকা খোরপোশ দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয় শামিকে।
শামিল জন্য ছেড়েছিল কাজ!
এদিকে ডিভোর্সের খোরপোশ মিটতে না মিটতেই ঈশ্বরের কাছে অসংখ্য ধন্যবাদ জানালেন হাসিন। আর তারপরই খোরপোশ নিয়ে আদালতের রায়ের পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন হাসিন জাহান। তিনি সংবাদসংস্থা ANI-কে জানিয়েছেন যে, ‘‘বিয়ের আগে মডেলিং করতাম, অভিনয় করতাম। কিন্তু বিয়ের পর শামি আমাকে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল। ওকে খুব ভালবাসতাম। তাই খুশি মনে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমার কোনও রোজগার নেই। আমাদের সব খরচের দায়িত্ব শামিকেই নিতে হবে।’’
প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ হাসিনের
এছাড়াও হাসিন জাহান আরও বলেন যে, “ মহম্মদ শামির কাছে অনেকবার এই দাবি করা হলেও খোরপোশের টাকা কিছুতেই তিনি দিতে চাইছিলেন না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমাকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। আসলে আমাদের দেশে এখনও আইন আছে, যা সকলকে নিজের নিজের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেয়।’’ এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে আরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জাহান।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির আগামী সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা, মোট সম্পত্তি …
এদিন সংবাদমাধ্যমে হাসিন জাহান বলেছেন যে, ‘‘কোনও সম্পর্ক শুরুর সময় সব কিছু বোঝা সম্ভব নয়। কারও মুখে লেখা থাকে না, সে কেমন মানুষ বা তার চরিত্র কেমন। তার মনে অপরাধপ্রবণতা থাকলেও বোঝা যায় না। আমি ভুক্তভূগী। কিন্তু সে নিজের সন্তানেরও সুখ, সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে চায় না। আমার জীবন নষ্ট করতে চায়। কিন্তু পারবে না। কারণ আমি সত্যের পথে আছি। শামি অন্যায়ের পথে রয়েছে। তাই আদালত আমার পক্ষেই রায় দিয়েছে। ’’
হাইকোর্টে বড় স্বস্তি
প্রসঙ্গত, আলিপুর আদালতে মহম্মদ শামির প্রাক্তন স্ত্রী ও সন্তানের জন্যে মাসিক ৮০ হাজার টাকা খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু পরে জেলা জজ সেই নির্দেশ সংশোধন করে স্ত্রীর জন্যে মাসিক ৫০ হাজার টাকা ও সন্তানের জন্যে ৮০ হাজার টাকা মেটানোর নির্দেশ দেয়। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাসিন জাহান হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। অবশেষে হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি ফিরল।