প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: থাকবে না পৃথিবীর স্বাভাবিক ঘূর্ণন গতি! বদলে যাবে ঘূর্ণনের ক্ষমতা। বিজ্ঞানীদের তরফে জানা গিয়েছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিন বার বেশ খানিকটা বেড়ে যেতে চলেছে পৃথিবীর আহ্নিক গতি। যার দরুন পৃথিবীতে দিনের পরিমাণ অনেকটাই কমবে।
বিস্ফোরক তথ্য!
সম্প্রতি পৃথিবীর আহ্নিক এবং বার্ষিক গতির পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইটে উঠে এসেছে এক উল্লেখযোগ্য তথ্য। সেই প্রকাশিত রিপোর্ট সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, আগামী ৯ জুলাই, ২২ জুলাই এবং ৫ অগস্ট পৃথিবী কিছুটা অংশ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি জোরে ঘুরতে চলেছে। এর ফলে দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হতে চলেছে। যেহেতু এর মাপ খুব সূক্ষ্ম তাই সময়টাকে মাপতে হবে মিলিসেকেন্ডে। অর্থাৎ, পৃথিবী জোরে ঘুরলে কয়েক মিলিসেকেন্ড কমবে দিনের দৈর্ঘ্য।
বেড়েই চলেছে ঘূর্ণনের সময়!
ছোট থেকে ভূগোল বইয়ে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সকলেই জানে যে সূর্যের প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘুরতে সময় নেয় ৩৬৫ বার। কিন্তু বিজ্ঞানীদের তরফে অন্য তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, পৃথিবী তার অক্ষে ৩৬৫ বারেরও বেশি আবর্তন করে। এমনকি বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৭২ থেকে ৪৯০ দিন পর্যন্ত।
আর গ্রহের এই ঘূর্ণন গতি নানাভাবে প্রভাবিত হতে পারে। এমনকি দিনের হিসাব ঠিক রাখতে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ পালন করা হয়। সেক্ষেত্রে পৃথিবীর গতি বৃদ্ধিও এই হিসাবকে প্রভাবিত করতে পারে।
কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ!
কিন্তু পৃথিবীর এই ঘূর্ণন গত ক্রমাগত কমা বাড়ার পিছনে মূল কারণ কী তা নিয়ে অনেকেই ধন্দের মধ্যে থাকে। সেক্ষেত্রে কয়েক বিজ্ঞানী মনে করেন যে, হিমবাহ গলে যাওয়া থেকে ভরের পরিবর্তন হয়। এর ফলে গ্রহের ঘূর্ণন গতিও পরিবর্তিত হতে পারে। এছাড়াও পৃথিবীর কোরের গতিবিধি আহ্নিক গতিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে পৃথিবীর গতি বৃদ্ধির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে ধরা হতে পারে চাঁদকে।
আরও পড়ুন: আয়ের নিরিখে ভারত সেরা, কলকাতা বিমানবন্দরের মুকুটে নয়া পালক
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আগামী ৯ জুলাই, ২২ জুলাই এবং ৫ অগস্ট এই তিনটি দিনে পৃথিবীর বিষুবরেখার সঙ্গে চাঁদের দূরত্ব সবচেয়ে বেশি থাকবে। এছাড়াও এল নিনো ও লা নিনার মতো প্রাকৃতিক ঘটনাও পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এখনও এই ঘটনার আসল কারণ সঠিক জানা যায়নি।