বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্ম শংসাপত্র তৈরির কাজ এবার আরও সহজ। আগে যেখানে, বার্থ সার্টিফিকেট বানাতে সরকারি দপ্তরের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হতো আমজনতাকে, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনলাইনের যুগে আর সেই ঝক্কি পোহাতে হবে না কাউকেই।
ভারত সরকারের, CRS পোর্টালেই আপলোড করা যাবে জন্ম এবং মৃত্যুর তথ্য। আর সেই সূত্র ধরেই, বার্থ সার্টিফিকেট বানানো এবার আরও সহজ হল। কিন্তু কীভাবে বানাবেন জন্ম সার্টিফিকেট? রইল গোটা পদ্ধতি।
এই পদ্ধতি মেনে বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করুন
প্রথমেই বলে রাখি, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে জন্মের প্রমাণপত্র বা বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য নিজস্ব পৌর কর্পোরেশন বা রাজ্যের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে না। ভারত সরকারের CRS পোর্টাল থেকেই নিজের সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট বানিয়ে নিতে পারবেন আপনি।
এর জন্য প্রথমেই কেন্দ্রের CRS পোর্টাল অর্থাৎ crsorgi.gov.in-এ যান। এরপর ওই ওয়েবসাইট থেকে জেনারেল পাবলিক অপশানে ক্লিক করে সাইন আপ করে নিতে হবে। হ্যাঁ, আবেদনের জন্য আগে থেকে পোর্টালে ব্যবহারকারীর একটি নিজস্ব অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নেওয়া আবশ্যক।
কাজেই, নিজের বৈধ মোবাইল নম্বর এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নেওয়ার পর নিজের অ্যাকাউন্টে লগইন করে অ্যাপ্লাই ফর বার্থ সার্টিফিকেট অপশনটিতে ক্লিক করুন। এরপর পরবর্তী পেজে একটি ফর্ম ওপেন হবে। তাতে শিশুর নাম, জন্ম তারিখ, জন্মের সময়, জন্মস্থান, ঠিকানা ও বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করে নিন।
ফর্ম পূরণ করা হয়ে গেলে তাতে প্রয়োজনীয় নথি যেমন, হাসপাতাল থেকে পাওয়া কপি বা ডিসচার্জ সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের আধার কার্ড, রেশন কার্ড, বিদ্যুতের বিল আপলোড করুন। সমস্ত তথ্য এবং ডকুমেন্ট আপলোড করার পর ফর্মটি আরও একবার যাচাই করে সাবমিট করে দিন। আবেদন জমা পড়ে গেলে একটি রেফারেন্স নম্বর পাবেন, পরবর্তীতে ওই নম্বর দিয়েই আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন আপনি।
বলা বাহুল্য, আবেদন জমা করার পর অনলাইনে আপনার ফর্মটি খতিয়ে দেখা হবে, এরপর যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলে 28 দিন থেকে এক মাসের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন আপনি। সে ক্ষেত্রে সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম পোর্টাল থেকেও বার্থ সার্টিফিকেটের PDF ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।
অবশ্যই পড়ুন: ভয়ঙ্কর চেহারা, রাক্ষুসে হাসি! তাও সেলিব্রেটিদের পছন্দ, কী এই লাবুবু ডল?
উল্লেখ্য, শিশুর জন্মের অন্তত 21 দিনের মধ্যে বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হয়। এই নিয়মের বাইরে গেলে জন্ম শংসাপত্র তৈরির সময় অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। তাই বার্থ সার্টিফিকেট বানানোর আগে এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।