সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের নাগরিক হিসেবে ভোটারাধিকার যেমন সাংবিধানিক দায়িত্ব, তেমনই ভোটার আইডি কার্ড (Voter Card) প্রতিটি নাগরিকের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। তবে আপনি কি জানেন, যদি আপনার নামে একের বেশি ভোটার কার্ড থাকে, তাহলে আপনি আইনের চোখে অপরাধী? এমনকি আপনার জেল পর্যন্ত হতে পারে? চলুন এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কী বলছে একটু জেনে নিই।
কী বলছে নির্বাচন কমিশন?
ভারতের নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এক ব্যক্তির নাম একাধিক ভোটার তালিকায় থাকা যাবে না। অর্থাৎ, আপনি যদি এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যান এবং সেখানে গিয়ে নতুন ভোটার কার্ড করিয়ে পুরনো কার্ডটিকে বাতিল না করেন, তাহলে সেটিকে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি হিসেবেই ধরা হবে। আর সেক্ষেত্রে পেতে হবে বড় ধরনের শাস্তি।
উল্লেখ্য, দুটি ভোটার কার্ড থাকলে, সেটা প্রতারণা হিসেবেই নির্বাচন করা হবে। আর এতে ভারতের দন্ডবিধির 182 নম্বর ধারা অনুযায়ী গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের 17 ও 31 নম্বর ধারায় শাস্তি দেওয়া হবে। এর ফলে কমপক্ষে 1 মাস থেকে শুরু করে 5 বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। পাশাপাশি জরিমানাও গুনতে হতে পারে।
ভুল করে দুটি কার্ড হয়ে গেলে কী করবেন?
এবার অনেক সময় কেউ শহর বা নতুন ঠিকানায় বসবাস শুরু করার পর নতুন ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেলে, অথচ পুরনো কার্ডটিকে বাতিল করতে ভুলে যান। এবার এই ভুল ভবিষ্যতে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু না, ভয়ের কোনো কারণ নেই। যদি ভুল করে দুটি কার্ড বানানো হয়ে যায়, তাহলে নিজেই একটি কার্ড বাতিল করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে শুধু একটি কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মোক্ষম চালে পিছল DA মামলা, সুপ্রিম কোর্টে কী যুক্তি দিল রাজ্য সরকার? বড় আপডেট
হ্যাঁ, আপনি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে দুটি ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেলেন এবং পুরনো ভোটার কার্ডটি বাতিল করতে চান, তাহলে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বা স্থানীয় ভোটার অফিস থেকে 7 নম্বর ফর্মটি পূরণ করতে হবে। আর এই ফর্মে আপনি কোন ভোটার আইডি কার্ডটিকে বাতিল করতে চান এবং বাতিলের কারণ ও ঠিকানার প্রমাণপত্র সহ বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। ফর্ম জমা দেওয়ার পর আপনার নাম শুধুমাত্র একটি তালিকায় রেখে বাকি রেকর্ডগুলিকে বাতিল করে দেওয়া হবে। (Source- India Today)