সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আপনিও কি নিয়মিত আপনার গাড়িতে বা বাইকে পেট্রোল ব্যবহার করেন? তবে আপনি কি জানেন, আপনি কোন ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করছেন? হ্যাঁ, ঠিক এই প্রশ্ন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কারণ সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি 20% ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলের (E20 Petrol) বিরুদ্ধে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে আবেদনকারী অ্যাডভোকেট অক্ষয় মালহোত্রা দাবি করছেন যে, গ্রাহকদের বিকল্প না দিয়ে জোর করে এই পেট্রোল চালু করা উচিত নয়।
পুরনো গাড়ির জন্য ঝুঁকির কারণ এই পেট্রোল
ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, 2023 সালের এপ্রিল মাসের আগে নির্মিত গাড়িগুলি E20 পেট্রোলের সঙ্গে কোনোভাবেই মানানসই নয়। তবে সবথেকে অবাক করার বিষয়, গত দুই বছরে তৈরি অনেক BS-6 গাড়িও 20% ইথানল মিশ্রিত জ্বালানি সহ্য করতে পারছে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এই মিশ্রণ ইঞ্জিনকে ক্ষতি করছে, জ্বালানির দক্ষতা কমিয়ে দিচ্ছে আর গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট করে দিচ্ছে।
এমনকি সবথেকে বড় আশঙ্কার জায়গা হল, যদি E20 পেট্রোল ব্যবহার করে গাড়ির ক্ষতি হয়, তাহলে বীমা সংস্থা কিংবা গাড়ি নির্মাতা সংস্থা, কেউই কোনো দায় নেবে না। কারণ তখন সেটি শর্ত ভাঙার আওতায় পড়বে। অর্থাৎ, মেরামতের সম্পূর্ণ খরচ গ্রাহকের নিজের পকেট থেকে খোয়াতে হবে।
#BREAKING PIL filed in #SupremeCourt challenging the Union Government’s Ethanol Blending Program to mix 20% ethanol in petrol.
Petitioner says selling only #E20 petrol, without giving the option of Ethanol-free petrol, affects the fundamental rights of millions of vehicle… pic.twitter.com/Emm4xslLnZ
— Live Law (@LiveLawIndia) August 22, 2025
বিদেশে বিকল্প থাকলেও ভারতে নেই
ওই মামলায় এও তুলে ধরা হয়েছে যে, আমেরিকায় যেখানে 10% ইথালন মিশ্রিত পেট্রোল মানদন্ড, সেখানে গ্রাহকরা ইথানালমুক্ত পেট্রোলও সহজে পায়। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে 5% ও 10% ইথানলযুক্ত জ্বালানি লেবেলসহ বিক্রি করতে হয়। তবে ভারতের গ্রাহকদের কোনো কিছু না জানিয়েই কোনোরকম লেবেল ছাড়াই ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল দেওয়া হচ্ছে, যা দিনের পর দিন গাড়িগুলিকে নষ্ট করছে।
আবেদনকারী দাবি
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবিও জানানো হয়েছে। প্রথমত, বলা হয়েছে সমস্ত পেট্রোল পাম্পকে ইথানল মুক্ত পেট্রোল সরবরাহ বাধ্যতামূলক করতে হবে। দ্বিতীয়ত, পেট্রোলে কত শতাংশ ইথানল রয়েছে, তা স্পষ্টভাবে লেবেল করতে হবে। তৃতীয়ত, ভোক্তা সুরক্ষা আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে। এছাড়া দেশব্যাপী গবেষণা চালিয়ে দেখতে হবে যে, E20 পেট্রোল আসলে কতটা ক্ষতিকর।