সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতে 20% ইথানল মিশ্রিত E20 পেট্রোল চালু নিয়ে ওঠা বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট অবেশেষে গুরুত্বপূর্ণ রায়ের (Supreme Court On E20 Petrol) পথে হাঁটল। সোমবার প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিনোদ চন্দ্রের বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হয়। তবে শুনানিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, সরকারের এই পদক্ষেপে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মন্তব্য করেছেন যে, এই মামলার পেছনে একটি বিরাট চক্র সক্রিয় রয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারও একই সুরে সুর মিলিয়ে জানিয়েছে ভারতের জ্বালানি নীতি বিদেশি স্বার্থে দেখে ঠিক করা যাবে না
মামলাকারীদের যুক্তি কী ছিল?
ওই পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে, দেশের বেশিরভাগ গাড়ি এখনো পর্যন্ত E20 জ্বালানির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বিশেষ করে 2023 এর আগের মডেলগুলি। এর ফলে ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সড়ক নিরাপত্তায় ঝুঁকি থাকতে পারে এবং মাইলেজ কমে যেতে পারে। তবে ভোক্তাদের মধ্যে E20 বাধ্যতামূলক করা হলে আপাতভাবে স্বাধীনতা ভঙ্গ হবে। এমনকি এটি ভোক্তা সুরক্ষা আইন 2019 এর পরিপন্থী ও সংবিধানের 14, 19, 21 ও 300A ধারা লঙ্ঘন।
আরও পড়ুনঃ পাবলিক প্লেসে থাকা গাড়ির লাগবে না রোড ট্যাক্স! ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের
তবে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক যুক্তি দিয়েছে যে, এই E20 পেট্রোল গাড়ির অ্যাক্সেলারেশন বাড়াচ্ছে, পাশাপাশি রাইডিং অভিজ্ঞতাকে উন্নত করছে। এমনকি E10 এর তুলনায় প্রায় 30% কম কার্বন নিঃসরণ করছে। পাশাপাশি ইথানলের মিশ্রণ আখ চাষীদের আয় বাড়াচ্ছে এবং তেলের আমদানির উপর নির্ভরতা কমে গিয়ে দেশের নিরাপত্তা বাড়ছে।
কী বলল আদালত?
তবে দেশের সর্বচ্চ আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে যে, গাড়ি নির্মাতা এবং ভোক্তাদের ধাপে ধাপে অন্তর্ভুক্তি করা হবে। কিন্তু সরকারের নীতির পেছনে যে পরিবেশ, কৃষি ও শক্তি নিরাপত্তার বাস্তব কারণ রয়েছে, তা উপেক্ষা করা যাবে না। সে কারণেই E20 চালুর বিরুদ্ধে আনা মামলা আপাতত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।